এবার তিস্তা নদীতে ভেসে এসেছিল একটি মর্টার শেল। গুপ্তধন ভেবে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে খোলার চেষ্টা করতেই সেটির বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন দু'জন। আহত হন আরও ছয়জন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির চাঁপাডাঙ্গা এলাকায় তবিবর রহমান নামে একজনের বাড়িতে বৃহস্পতিবার ৫ অক্টোবর রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহতদের একজনের নাম আইনুর আলম, অপরজনের নাম জানা যায়নি। আহতরা হলেন- আইনুর আলম, লাকু আলম, তসমিরা বেগম, রমজান আলী, লতিফা খাতুন, গোমের আলী। প্রবল বৃষ্টির কারণে ভারতের সিকিমের দক্ষিণ লোনাক লেক উপচে এবং চুংথাম বাঁধের একাংশ ভেঙে পানির স্রোত নেমে আসে তিস্তা নদীতে।
বুধবার রাত থেকে তিস্তার ভয়ঙ্কর স্রোতে বিপর্যস্ত সিকিম। আকস্মিক বন্যায় নদীর পানিতে ভেসে নিখোঁজ হয়েছেন সেনাবাহিনীর ২৩ সদস্য। এছাড়া সেনাবাহিনীর ৪১টি গাড়ি, বেশ কয়েকটি ছাউনি ও অনেক অস্ত্র ভেসে গেছে।
জানা গেছে, ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশেরও বেশ কয়েকটি অস্ত্র ডিপো তিস্তার পানিতে ভেসে গেছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত তাদেরও একাধিক জওয়ান নিখোঁজ আছেন। সব মিলিয়ে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভেসে আসা অস্ত্রের মাধ্যমে দুর্ঘটনা এড়াতে পাহাড়জুড়ে তল্লাশি শুরু করেছে প্রশাসন।
এদিকে সেনাবাহিনীর আশঙ্কা, এসব অস্ত্র বেহাত হলে ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। এজন্য তিস্তা পাড়ে মাইকিং করে সতর্ক করছে প্রশাসন। নদীর পানিতে ভেসে আসা কোনো সামগ্রীতে যাতে কেউ হাত না দেন, সে কারণে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রচার চালানো হচ্ছে এলাকায়।